আদর্শ পুরুষের বৈশিষ্ট্য , মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সির প্রিন্সটনের ‘অপিনিয়ন রিসার্চ করপোরেশন’ পরিচালিত এই জরিপে দেখা গেছে, নারীরা পুরুষের শারীরিক নানা দিকের চেয়েও আচরণগত বেশ কিছু বিষয়কে গুরুত্ব দেন বেশি। মাত্র ১৩ ভাগ নারী জানিয়েছেন, পুরুষের উচ্চতা, স্টাইল, চেহারা, পেশিবহুল ফিট শরীর তাঁদের কাছে আকর্ষণীয়। অন্যদিকে ৬৬ ভাগ নারী জানিয়েছেন, যে পুরুষ তাঁকে তাঁর মতো করে গ্রহণ করেন, তিনি যে রকম, সেই সত্তাকেই ভালোবাসেন, তেমন পুরুষকেই তাঁরা জীবনসঙ্গী হিসেবে গ্রহণ করতে চান। ৮৭ ভাগ নারী জানিয়েছেন, জীবনসঙ্গী তাঁকে মূল্যায়ন করছে কি না, সম্মান করছে কি না, এটা তাঁদের কাছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
আদর্শ পুরুষের বৈশিষ্ট্য বেশ কিছু বৈশিষ্ট্যের কথা বলেছেন এসব নারী। উঠে এসেছে পুরুষের নানা মানসিক ও আচরণগত দিক, যা একজন পুরুষকে আদর্শ মানুষ হিসেবে নির্ধারণ করে। চট করে চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক নারীদের চোখে একজন পারফেক্ট পুরুষের চেকলিস্ট এ।
১. বিশ্বস্ততা, দয়া, নৈতিকতা, ধৈর্য—এগুলোই একজন পুরুষ তথা একজন মানুষের সেরা গুণ। একজন আদর্শ পুরুষ নারীদের সম্মান করেন। জীবনসঙ্গীর জন্য ‘ইমোশনালি অ্যাভেইলেবল’ থাকেন।
২. দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ‘সেন্স অব হিউমার’ বা রসবোধ আর বুদ্ধিমত্তা।
৩. পরিবারকে প্রাধান্য দেন। স্ত্রী–সন্তানদের সঙ্গে সময় কাটান।
৪. একজন পারফেক্ট পুরুষ পরিশ্রমী। ঘরের কাজ স্ত্রীর সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেন।
৫. নতুন মাকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেন। নতুন মা যাতে রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে পারেন, সে জন্য রাতে তিনি যতটা পারেন শিশুসন্তানের দেখভাল করেন।
৬. রান্না করতে পারেন। নতুন নতুন রেসিপি ট্রাই করেন।
৭. রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। আচরণের ওপর নিয়ন্ত্রণ, আবেগীয় ভারসাম্য রাখেন।
৮. সঙ্গীর কথা মন দিয়ে শোনেন।
৯. প্রতিদিন ভোরে ঘুম থেকে ওঠেন।
১০. নিজের বিছানা নিজেই গোছান।
১১. প্রতিদিন কিছুটা সময় রান্নাঘরে কাটান। এর মানে নিজের চা বা কফি নিজেই বানিয়ে খান অথবা ব্রেকফাস্ট বানাতে পারদর্শী অথবা স্ত্রী রান্নাঘরে কাজে ব্যস্ত থাকলে তাঁকে সেখানেই সঙ্গ দেন।
১২. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকেন। বাসা, অফিসের ডেস্ক গুছিয়ে রাখতে পছন্দ করেন।
১৩. শতকরা মাত্র ১৩ ভাগ নারীর কাছে পুরুষের শারীরিক কাঠামো, স্টাইল, উচ্চতা, সুদর্শন কি না, পেশি আছে কি না—এগুলো গুরুত্বপূর্ণ।