ayurveda যে কোনও রোগকে ডেকে আনতে ডায়বেটিসের জুড়ি নেই। অতিরিক্ত সুগার চুপি চুপি একের পর এক অঙ্গকে অকেজো করে দেয়—কিডনি থেকে লিভার থেকে চোখ। তাই প্রথম থেকেই সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখা দরকার। ayurveda আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ জানালেন, হঠাৎ খাদ্যাভাসে বড় রকম পরির্বতন হলে রক্তে সুগারের মাত্রা বাড়তে পারে।
আবার রাত জাগলে বা দিনের বেলা ঘুমোলেও রক্তে সুগারের পরিমাণ বাড়তে পারে। মানসিক উদ্বেগ, অবসাদ, দুশ্চিন্তা তো আছেই। শহুরে অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, খেলাধুলো-ব্যায়াম, এক কথায় কায়িক পরিশ্রম না করলেও রক্তে সুগারের মাত্রা বাড়ে।
সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সম-পরিমাণ শুকনো হলুদ ও আমলকির গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। সেটি দু’গ্রাম করে সকালে খালি পেটে ও রাতে খাওয়ার আগে ঠান্ডা জলের সঙ্গে খেতে হবে।
• দু’চামচ মেথি দানা ও চার ইঞ্চি পদ্মগুলঞ্চ রাতে এক কাপ জলে ভিজিয়ে রাখবেন। সকাল সেটি ছেঁকে খেয়ে নিয়ে তাতে আবার জল মেশাতে হবে। সেই জল সন্ধেবেলা খেতে হবে। রাতে আবার নতুন করে ভেজাতে হবে।
• কাঁচা হলুদ ও নিমপাতা সমান ভাবে নিয়ে দু’কাপ জলে সেদ্ধ করে এক কাপ থাকতে নামিয়ে নিন। পরদিন সকালে খেতে হবে।
• ৫০ গ্রাম সজনে ডাঁটা তিন কাপ জলে সেদ্ধ করে জল অর্ধেক করতে হবে। পরদিন সেই জল ছেঁকে সকাল-সন্ধ্যায় অর্ধেক করে খেতে হবে।
• ১০ গ্রাম নিমপাতা দু’কাপ জলে ফুটিয়ে এক কাপ করে নিতে হবে। সেটি ছেঁকে নিয়ে পরদিন সকালে খেতে হবে।
• কম বয়স থেকেই সপ্তাহে পাঁচ দিন সকালে খালি পেটে একটুকরো হলুদ খেলে ডায়াবেটিস আটকানো যায়। হলুদের সঙ্গে কোনও দিন কয়েকটি থানকুনি পাতা বা কোনও দিন কচি নিমপাতা মিশিয়ে খেলে ভাল হয়।
• ডায়বেটিস থাকলে পথ্য হিসেবে খাওয়া দরকার সজনে পাতা, মেথি শাক, লাউ ও লাউশাক, কচি মুলো সমেত শাক, লেটুস, গাজর, টোম্যাটো, রসুন, পেঁয়াজ, পাতিলেবু, কাঁচালঙ্কা। এগুলোর কোনও একটি যেন রোজকার খাবারে থাকে। ফল খেতে ভালবাসলে সপ্তাহে এক দিন দুপুরে অন্য কিছু না খেয়ে ইচ্ছে মতো নানা রকম ফল মিশিয়ে খেতে পারেন।