Fruits for Anti-Aging সুন্দর দেখতে কে না চায়। তবে বর্তমানে জীবনধারা পরিবর্তনশীল, তাই ত্বকের নানান সমস্যাও দেখা যায়। এক্ষেত্রে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় বলিরেখা। বয়স বাড়ার সাথে সাথে বার্ধক্যের প্রভাব মুখে দেখা দিতে শুরু করে, কিন্তু অনেক সময় কম বয়সে বার্ধক্যের ছাপ, বলিরেখা (wrinkles) এবং বার্ধক্যের লক্ষণ (Signs of aging) আমাদের আত্মবিশ্বাসকে দুর্বল করে দিতে পারে। তবে এটাও সত্য যে একজন মানুষ যে বয়সেরই হোক না কেন, তিনি দীর্ঘ সময়ের জন্য তরুণ এবং সুন্দর দেখতে চান। যার জন্য তিনি অনেক ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।এতে মুখ সঠিক পুষ্টি পায় এবং ত্বক থাকে সতেজ ও উজ্জ্বল। এমন পরিস্থিতিতে, আপনি আপনার দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় কিছু ফল (Fruits for Anti-Aging) অন্তর্ভুক্ত করে বার্ধক্যের প্রভাব এড়াতে পারেন। তাহলে আসুন জেনে নেই এই ফলগুলো সম্পর্কে-
ব্লুবেরি Blueberry-ব্লুবেরিতে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বককে ফ্রি রযাডিক্যাল থেকে রক্ষা করে বার্ধক্য প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয়। এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং বলিরেখা কমাতে সহায়ক। ছোট্ট মিষ্টি একটি ফল হল ব্লুবেরি। তবে দেখতে ছোট হলেও এর পুষ্টিগুণ কিন্তু একেবারেই ছোট নয়। এর মধ্যে রয়েছে উচ্চমাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন, সাইবার এবং অন্যান্য উপকারী যৌগ। স্বাভাবিকভাবেই এত গুণ থাকার জন্য প্রতিদিন যদি আপনি ব্লুবেরি খান তাহলে আপনি পাবেন একাধিক রোগ থেকে মুক্তি। ব্লুবেরিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, বিশেষ করে অ্যান্থোসায়নিন, যা থাকার জন্য এই ফলটির রং হয় নীল। ব্লুবেরিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আপনার মানসিক অবসাদ কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন ব্লুবেরি খেলে উচ্চ রক্তচাপ থাকে নিয়ন্ত্রণে। হাই ব্লাড প্রেসার যে হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম কারণ, সেটা আর আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই প্রতিদিন ব্লুবেরি যদি আপনি খেতে পারেন সে ক্ষেত্রে রক্ত নালীগুলির প্রসারণ বেড়ে যায় এবং রক্তচাপ থাকে নিয়ন্ত্রণে।
অ্যাভোকাডো Avocado অ্যাভোকাডোতে ভালো পরিমাণে স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং ভিটামিন ই রয়েছে। যা ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে এবং প্রদাহ কমায়। এটি ত্বককে কোমল ও বলিরেখা মুক্ত রাখতে সাহায্য করে। অ্যাভোকাডোর মতো একটি সুপারফুডকে অবশ্যই ডায়েটে জায়গা করে দিতে হবে। তাহলেই ক্যানসার, হৃদরোগ সহ একাধিক জটিল সমস্যার ফাঁদ এড়াতে পারবেন।
পেয়ারা– Guava অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি এবং পটাসিয়াম সমৃদ্ধ। পেয়ারা কোলাজেন উৎপাদনের মাধ্যমে ত্বকের গঠন উন্নত করে। এর পাশাপাশি এতে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বার্ধক্য প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয়।
ডালিম Pomegranate -ডালিমে ভালো পরিমাণে পলিফেনল এবং ভিটামিন সি রয়েছে। যা কোলাজেন উৎপাদনের মাধ্যমে ত্বককে নমনীয় করে তুলতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি, এটি ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে এবং সুস্থ ও তরুণ রাখে। ডালিম হাইড্রেশনের একটি প্রাকৃতিক উৎস, যা আপনার ত্বককে ময়শ্চারাইজ করার জন্য উপযুক্ত। অ্যান্টি-এজিং বৈশিষ্ট্য: ডালিমের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বার্ধক্যের লক্ষণ কমাতে বিস্ময়কর কাজ করে।
কিউই Kiwi-কিউইতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং ই পাওয়া যায়। যা ত্বকের কোষগুলিকে মেরামত করে এবং এটিকে ইউভি রশ্মি থেকে রক্ষা করে। এটি ত্বকের উন্নতি এবং তারুণ্য ধরে রাখতে সহায়ক।
স্ট্রবেরি Strawberry-এতে পাওয়া ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ইউভি রশ্মির কারণে হওয়া ক্ষতি থেকে ত্বককে রক্ষা করে এবং কোলাজেনের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। পাশাপাশি এটি মুখের বর্ণ বাড়ায় এবং কালো দাগ কমায় এবং ত্বকের আর্দ্রতা এবং স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখে।