Blood pressure উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। রক্তচাপ খুব বেশি বেড়ে গেলে শরীরে নানা রকম জটিলতা তৈরি হতে পারে। যাদের রক্তচাপ অনেক বেশি তাদের অনেক সময়েই নিয়মিত ওষুধ খেয়ে যেতে হয়। অনেক সময়ে সব কিছুর পরেও রক্তচাপ কমানো মুশকিল হয়ে পড়ে। তাই বেশি বাড়াবাড়ি হওয়ার আগেই বাড়িতে কিছু ঘরোয়া উপায় মেনে চলার চেষ্টা করুন। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন বেছে নিন। হয়ত অনেকটাই সমস্যা কমতে পারে।
১. রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেট এড়িয়ে চলুন। ময়দা, চিনি, সাদা ভাত, কেক, প্যাকি, বার্গার, সাদা পাউরুটির মতো খাবার খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন। এমনকি আটার রুটির বদলে জোয়ার, বাজরা, রাগির রুটি খেতে পারেন। সাধারণ ইডলি-ধোসার বদলে সুজি বা রাগির ইডলি খান। হোল-হুইট গ্রেনের আটা পাউরুটি খান। ওজন যত নিয়ন্ত্রণে রাখবেন, তত Blood pressure রক্তচাপও কম থাকবে।
২. ওজন কমানো বা নিয়ন্ত্রণে রাখতে অবশ্যই নিয়মিত শরীরচর্চাও প্রয়োজন। যাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে তাদের প্রত্যেকদিন অন্তত ৩০ থেকে ৪০ মিনিট শরীরচর্চা করা আবশ্যিক। যত কার্ডিয়ো করবেন, তত রক্ত চলাচল বেশি হবে, তত হৃদ্যন্ত্র সুস্থ থাকবে। কোনো রকম দীর্ঘ অসুখ বা হৃদরোগের আশঙ্কা কমবে। ৩০ মিনিট ব্রিস্ক ওয়াক বা জগিংয়ে উপকার পাবেন।
৩. বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে প্রত্যেক দিন ৫ গ্রামের বেশি নুন বা কাঁচা লবণ খাওয়া উচিত নয়। যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা তাদের আরও লবণ চলবে না। বিশেষ করে আমরা অনেক সময় বুঝতে পারি না বাইরের জাঙ্ক ফুড বা বিস্কুট-চানাচুড়েও কতটা লবণ থাকে। তাই যে কোনো বাইরের খাবার খাওয়ার আগে সাবধান হন।
৪. পটাশিয়াম বেশি যেতে হবে শরীরে। যাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে, তাদের জন্য পটাশিয়াম অত্যন্ত জরুরি পুষ্টি। তাই কলা, অ্যাভোক্যাডো, টমেটো, রাঙা আলু, স্যামন মাছ, টুনা, বাদাম, দইয়ের মতো খাবার নিত্য খাদ্যতালিকায় রাখুন।
৫. ধূমপান, মদ্যপান অবশ্যই কমিয়ে ফেলুন। ধূমপান ছেড়ে দিন। গবেষণা বলছে অ্যালকোহল প্রায় ১৬ শতাংশ রক্তচাপ বাড়িয়ে দিতে পারে। নিকোটিনও আমাদের রক্তনালির মারাত্মক ক্ষতি করে। যদি স্বাস্থ্যকর জীবন বেছে নেন, তা হলে ধীরে ধীরে নিজে থেকেই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম, জল খাওয়া এবং মানসিক চাপ কম করলে শরীরের অনেক সমস্যা কমে যেতে পারে।